রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বাঁধের সম্মূখ থেকে কাশিমপুর পাম্প হাউজসহ শেরপুর ও নিন্মাঞ্চল এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানিতে গৃহ পালিত গরু ছাগল হাঁস মুরগি ডুবে গেছে। যে সমস্ত গরু ছাগল হাঁস মুরগি কোন রকম প্রানে বেঁচে গেছে তাদেরে নিয়ে দূর্গত মানুষ এক জায়গায় বসবাস করছে। বন্যা কবলিত মানুষের অভিযোগ এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী বা উদ্ধারে কেহ আসেনি। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত বাসিন্দারা এবং মৌলভীবাজার থেকে কিছু উদার মনের দানশীল মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজনগর উপজেলার ২ নং উত্তরভাগ ইউনিয়নের কালার বাজার বেরিবাঁধ এর উত্তর পাশে বন্যায় প্লাবিত প্রায় ২৫ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। তাহাদের গবাদি পশু গরু ছাগল হাঁস মুরগি পানিতে ভেসে গেছে। অনেক মানুষ বেরি বাঁধ, আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে এখন পর্যন্ত সরকারি অনুদান পৌঁছেনি বলে বন্যায় দূর্গত মানুষরা জানান। বন্যার পানিতে প্লাবিত গ্রাম গুলো হচ্ছে কালার বাজার, রুস্তমপুর, ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের বেরি বাঁধের উত্তর পাশে সমস্ত গ্রামসহ কাশিমপুর পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বেরিবাধঁ সংলগ্ন সকল গ্রাম বন্যার পানির প্লাবিত করে দিয়েছে। বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে রাজনগর উপজেলায় পানি প্রবেশ করতে পারে আশংকায় স্থানীয় জনসাধারণ বেরি বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন। আশঙ্কাজনক স্থানে বালির বস্তা দিয়ে পানি প্রবেশ আটকানোর চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সংস্থা ও স্বাবলম্বী ব্যাক্তিরা ত্রাণ সামগ্রী, রান্না করা খাবার নিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য এগিয়ে আসছেন।।